Thursday, January 31, 2013

ভালবাসা কি খেলনা?? ইচ্ছা হল খেললাম, ইচ্ছা হল ভেঙে দিলাম??
অনেকেই বলতে শুনি ওর সাথে ব্রেক-আপ
করে ফেলব... ওর সাথে রিলেশন
রাখবো না...
আজ যদি এটা ভাবেন তাহলে সেদিন
রিলেশন কেন করেছিলেন??
কেন এত দিন ধরে সেটা বয়ে এনেছেন...??
আজ বলেন আমার এই সমস্যা, ওই
সমস্যা... এই কারনে রিলেশন রাখবো না...
তাহলে সেদিন কেন ভাবেন নাই??
একটা মানুষকে হাসানো অনেক কঠিন
কিন্তু তাকে কাঁদানো অনেক সহজ...
বিশ্বাস একটা কাগজের মত... একবার
ভাজ করলে তার পর আগের মত করার
যতই চেষ্টা করেন কখনোই আগের মত
হবে না...
এক এক জন স্বার্থপরের মত বলে বসেন
আমি সরে গেলে ওর জীবন সুন্দর হবে...
আসলে কি তাই?? ওই
ছেলেটা বা মেয়েটা কি আপনাকে ভুলতে পারবে??
তার সাথে আপনার সম্পর্কের আগের
সময়ে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন??
ভালবাসায় কোন রিপ্লেসমেন্ট হয়না...
মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক...তাই
বলে একজন ভুল কিছু
করেছে বলে তাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে??
ভুল গুলো কি শুধরে দেয়া যায় না??
একটা কথাই
বলবো কাউকে ভালবাসলে বাসার মতই
বাসেন...
চিরদিন যদি ভালবাসতে পারেন
তাহলে ভালবাসবেন,
তা না হলে ভালবাসার দরকার নেই...
ভালবাসা আয়না না, একটা ভেঙে গেল
আরেকটা কিনে নিলাম...
কি অদ্ভুত মানুষের ভালোবাসা.....!!!
আসসালামুয়ালাইকুম। সুপ্রিয় ভাই, বোন ও বন্ধুরা, আশা করি উপর ওয়ালার অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন। আমি সব সময় ভালোর দলে তাই আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজ টেকনোলজি ভিন্ন একটু অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তার আগেই বলে রাখছি যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তাঁরা দয়া করে পড়বেন না। আপনারা হোম পেজে ফিরে যান। কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক সম্পর্কে সবাই একটু হলেও অবগত আছেন। এক কথায় প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যা কিছু করা হয় তাই ব্ল্যাক ম্যাজিক। এটা আসলে সাধনার বিষয়। হুট হাট করে হয় না। তবে আপনাদের সহযোগিতা আর উৎসাহ পেলে আমার ঝুলিতে যা আছে তা আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
অনেকে তাবিজ ব্যাবহার করেন। ইসলামে এটা সম্পূর্ণ হারাম। অনেকে বলেন তাবিজ দুই প্রকার; ১। কুরআনের আয়াত দিয়ে, ২। শিরক করে। অনেক মওলানা যারা তাবিজ নিয়ে ব্যবসা করেন তাঁরা বলেন, "কুরআনের আয়াত দিয়ে তৈরি করা তাবিজ জায়েজ আছে।" কক্ষনো নয়। কারন তাবিজ শরীরের সাথে বেঁধে রাখা হয়। আপনি যখন টয়লেটে যাবেন তখন আপনার সাথে তাবিজটাও থাকবে। তার মানে কুরআনের আয়াত আপনি টয়লেটের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন, যা হারাম। আর শিরক তো হারাম ই। এজন্য যারা এখনও তাবিজ ব্যাবহার করছেন তাঁরা দয়া করে তাবিজ খুলে ফেলুন আর আল্লাহর কাছে তওবা করে নেন। কালো জাদু আসলে খুব ভয়ঙ্কর আক্তা জিনিষ। এটার ভুল প্রয়োগ করলে প্রয়োগকারীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে ভয় পাবার কিছু নেই। আমি তেমন ভয়ঙ্কর কিছু শেয়ার করব না। কারন আমি চাই না আমার জন্য কারো ক্ষতি হোক। আপনাদের আমি যতই বলি যে এটা প্রয়োগ করবেন না কিন্তু জানি আপনারা সুনবেন না। কৌতুহলবসত প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন। তাই আমি খুব সাধারণ কিছু ব্ল্যাক ম্যাজিক শিখাবো আপনাদের।
মুল পোস্টঃ কোন এক মনিষী বলেছিলেন, " প্রেমের এই ফাঁদ পাতা দুনিয়ায় কখন কে যে কার প্রেমে পরে কে জানে? " আসলে সবাই একবার হলেও প্রেমে পরেছেন। যদি কেউ বলেন আমি পরিনি, তবে আমি বলব হয় তিনি বুঝতে পারেন নি অথবা তিনি মিথ্যা বলছেন। আসলে বেশিরভাগ প্রেমের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ঃ- যে আমায় খোঁজে আমি তাকে খুঁজি না। যে আমায় বোঝে আমি তাকে বুঝি না। যে আমায় চায় আমি তাকে চাই না। যে আমায় ভালোবাসে আমি তাকে ভালোবাসি না। আজ আমি যে ম্যাজিক টা শিখাব তা হল " ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার উপায় "।
আপনাকে আর তার পিছনে ঘুরতে হবে না, সেই ঘুরবে আপনার পিছনে। কার্যপদ্ধতিঃ মিষ্টি জাতীয় দ্রবের উপর নিম্নের আয়াত দুটি পড়ে ফু দিয়ে আপনি যায় ভালোবাসা চান তাকে খাওয়াবেন। ব্যাস কেল্লা ফতে। তারপর তিনটা দিন অপেক্ষা করেন আর মজা দেখেন পাখি ক্যামনে খাঁচায় বন্দি হয়।
সাবধানতাঃ আরবি উচ্চারন টা অবশ্যই শুদ্ধ হতে হবে। কখনোই ফাইজলামি করে অথবা ইয়ার্কি করে এটা ব্যাবহার করবেন না। কারন এটা ব্যাবহার করলে সেই মানুষটা আপনার প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে পরবে যে আপনাকে না পেলে সে সুইসাইড ও করতে পারে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটার ভুল প্রয়োগে একটা মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এটা আসলে ব্যবহার করা হয় স্বামী স্ত্রীর মাঝে প্রচণ্ড রকমের ঝগড়া লাগলে। আলহামদুলিল্লাহ আমি এটা ব্যাবহার করেছিলাম এক দম্পতির উপর। এখন সেই লোকটি তার স্ত্রীকে নিয়ে খুব শুখে আছেন। দয়া করে কেউ কোন খারাপ কাজে এটা ব্যবহার করবেন না। এটার ভুল ব্যাবহারে যদি কারো কোন ক্ষতি হয় তবে আমি কোন ভাবেই দায়ী থাকবো না। আমি আবারও বলছি কেউ কোন খারাপ/অবৈধ কাজে ব্যাবহার করবেন না। । আমার সাথে ফেসবুকে আড্ডা দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন । এরকম আরও ব্ল্যাক মাজিক/কালো জাদু পেতে এই ফেসবুকের এই পেজে লাইক দিন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, এই শুভ কামনায় আজকের মত এ পর্যন্তই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ইনশাল্লাহ পরবর্তী পোস্ট করব ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে। দয়া করবেন সবাই।

Tuesday, January 22, 2013



চলুন জেনে নিই খাঁটি মধু চেনার উপায়



মধু একটি খুব উপকারী খাদ্য, পথ্য ও ঔষধ । মধুর গুণের কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই । জন্মের পর নানা দাদীরা মখে মধু দেয় নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন । আজ আমি মধুর গুণের কথা বলব না । কারণ মধুর গুণের কথা কম বেশী সকলের জানা । বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যে মধু কিনে আনি তা যে কতটুকু খাঁটি তা বলা মুশকিল । মধুর মধ্যে সাধারণত ভেজাল হিসেবে পানি, চিনি ও আরও অনেক কিছু মেশানো হয় । চলুন আমরা জেনে খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায় -
১। ফ্রিজিং পরীক্ষা : মধুকে ফ্র্রিজের মধ্যে রেখে দিন । খাঁটি মধু জমবে না । ভেজাল মধু পুরাপুরি না জমলেও জমাট তলানী পড়বে ।
২। পিঁপড়া পরীক্ষা : এক টুকরা কাগজের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু নিন । তারপর যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন । পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না ঘেসে তবে তা খাঁটি মধু । আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে ।
৩। চক্ষু পরীক্ষা : খুব অল্প পরিমাণ মধু চোখের ভেতরে দিন । যদি মধু খাঁটি হয় তবে প্রথমে চোখ জ্বালাপোড়া করবে ও চোখ থেকে পানি বের হবে এবং খানিক পরে চোখে ঠান্ডা অনুভূতি হবে । (এই পরীক্ষায় অনুৎসাহিত করছি)
৪। দ্রাব্যতা পরীক্ষা : এক গ্লাস পানি নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচপরিমাণ মধু নিন । খুব ধীরে ধীরে গ্লাসটি শেক করুন । যদি মধু পানিতে পুরাপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু । আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে থাকে তবে তা খাঁটি মধু ।
৫। মেথিলেটেড স্পিরিট পরীক্ষা : সমান অনুপাতে মধু এবং মেথিলেটেড স্পিরিট মিশ্রিত করে নাড়াতে থাকুন। খাঁটি মধু দ্রবীভুত না হয়ে তলনীতে জমা হবে । আর ভেজাল মধু দ্রবীভূত হয়ে মেথিলেটেড স্পিরিটকে মিল্কি করবে ।
৬। শিখা পরীক্ষা : একটি কটন উয়িক নিয়ে উহার এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবিয়ে নেই । তারপর উঠিয়ে হালকা শেক করে নিই । একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে বা লাইটার জ্বলিয়ে তা আগুনের শিখায় ধরি । যদি তা জ্বলতে থাকে তবে মধু খাঁটি আর যদি না জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে । যদি মধুতে অল্প পরিমাণ পানি মেশানো থাকে তবে কটন উয়িক জ্বলতে থাকবে কিন্তু ক্র্যাকলিং সাউন্ড শোনা যাবে ।
৭। শোষণ পরীক্ষা : কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিন ও পর্যবেক্ষণ করুন । খাঁটি মধু ব্লটিং পেপার কর্তৃক শোষিত হবে না । ভেজাল মধু ব্লটিং পেপারকে আর্দ্র করবে ।
৮। কলংক পরীক্ষা : একটুকরা সাদা কাপড়ের উপর সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষন পর কাপড়টি ধৌত করুন । ধোয়ার পর কাপড়টিতে যদি কোন দাগ থাকে তবে মধুতে ভেজাল আছে । আর যদি কোন দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি ।
৯। হানি কম্ব পরীক্ষা : একটি কাঁচের বা সাদা রংয়ের বোলের মধ্যখানে দেড় থেকে দুই চা চামচ (প্লস্টিকের তৈরি) মধু নেই । তারপর বোলের চারদিক দিয়ে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানি ঢালতে থাকি । যখন পানি মধুকে ঢেকে ফেলবে তখন পানি ঢালা বন্ধ করি । তারপর বোলটিকে তুলে ধরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে দুই মিনিট ধরে ঘুরাতে থাকি । খাঁটি মধু এই মুভমেন্টের পরেও পানিতে দ্রবীভূত হবে না এবং হেক্সাগোনাল আকৃতি ধারণ করবে যা দেখতে প্রায় হানি কম্ব এর মত । হানি কম্ব এর চিত্র দেখুন নিচে -

১০। স্বচক্ষে দেখা পদ্ধতি : এই পরীক্ষগুলো না করেও খাঁটি মধু সম্পর্কে নিশ্চত হতে পারবেন যদি আপনি নিজে উপস্থিত থেকে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে আনতে পারেন ।